ভাস্কর মন্ডল ,বীরভূম :শিক্ষা আনে চেতনা,প্রতি বছরের মত এবছরও
বিশ্বভারতী শিক্ষা চর্চা শিক্ষক শিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পালিত হল গান্ধী পুণ্যাহ। ১৯১৪ সালের শেষের দিকে মহাত্মা গান্ধী তাঁর দক্ষিণ আফ্রিকার ফিনিক্স স্কুলের ছাত্রদের শান্তিনিকেতনে পাঠান। গান্ধীজি নিজে সেখানে আসেন ১৯১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
গান্ধীজির স্বাবলম্বনের আদর্শে
অনুপ্রাণিত হয়ে ১৯১৫
সালের ১০ মার্চ শান্তিনিকেতনের
ছাত্রছাত্রী,অধ্যাপক ও অন্যরা আশ্রমের সমস্ত কাজ নিজেরা করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই প্রতিবছর বিশ্বভারতীতে ১০ মার্চ দিনটিকে গান্ধী পুণ্যাহ পালন করা হয়। এদিন শিক্ষা চর্চার প্রিন্সিপাল রেজাউল করিম, অন্যান্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকা, কর্মী, ও ছাত্রছাত্রীরা মিলে ঝাঁটা হাতে শিক্ষা চর্চার চত্বর পরিষ্কার করেন।শান্তিনিকেতন পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের নিকট অবস্থিত একটি আশ্রম ও শিক্ষাকেন্দ্র। ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নিভৃতে ঈশ্বরচিন্তা ও ধর্মালোচনার উদ্দেশ্যে বোলপুর শহরের উত্তরাংশে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা কালক্রমে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ নেয়।